Posts

Showing posts from November, 2024

একজন মুসলিম নারী হিসেবে অবশ্যই যা জানা প্রয়োজন

একজন প্রকৃত পর্দা করা নারী, ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে দৃঢ়ভাবে পা ফেলে এবং কথা বলার সময় অন্যরা যাতে বাজে চিন্তায় বা কাজে লিপ্ত না হয় সে জন্য নিজের কণ্ঠকে মোটা করে, প্রকৃতপক্ষে তখন সে তার এই ধরনের কাজের মাধ্যমে এ বক্তব্যই তুলে ধরে : “আমাকে ভয় কর, তোমাদের অন্তরে আমার প্রতি আকাংখার দুঃসাহস কর না। আমি একটি সু-গন্ধযুক্ত ফুল, আর শুধুমাত্র একজনই আমার সু-গন্ধ উপভোগ করবে, সকলে নয়। আমার পর্দা হচ্ছে কাটার ন্যায় যা আমার ফুলের ন্যায় অস্তিত্বকে সংরক্ষণ করে। আমার পর্দা, আমার পোশাক, আমার চলাচাল, আমার কথাবার্তা অপবিত্র ব্যক্তিদের চোখকে অন্ধ করে দেয় এবং তাদের শয়তানী উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে নিরাশ করে থাকে।” একজন প্রকৃত পর্দা করা নারী, সৌন্দর্য্যকে পর্দার দীপ্তিময় প্রকাশেই খুঁজে পাই। তার প্রবৃত্তি ও শয়তানের দাসত্ব করে না এবং নিজের মধ্যে কোনরূপ ঘাটতি অনুভব করে না। সব ধরনের দাসত্বের বন্ধন মুক্ত এবং আল্লাহর অভিভাবকত্বের ছায়ায় থাকে, যেমনভাবে ঝিনুকের মাঝে মুক্তা থাকে। অপরদিকে- বেপর্দা বা সঠিকভাবে পর্দা না করা নারীরা বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয়, কালারফুল বা চোখে ধরে এমন পোশাক পরে, আকর্ষনীয় ভঙ্গিমায় কথা বলে এবং আচার আচরণের মা...

যেমন চেয়েছেন, তেমন পাচ্ছেন

কথায় আছে যেমন কর্ম তেমন ফল। আমার অপছন্দের কিছু তা তো বিষয় না। আপনি স্বাধীনচেতা মানুষ। আপনি অনেক মাপের (ডাক্তার), বিপি পরীক্ষা আপনি ছাড়া কেউ ভালো পারতেই পারে না। আমার অনেক আনন্দ লাগছে। আপনি সকলের কাজে নিজেকে যেমন উপস্থাপন করেছেন, সকলেই আপনাকে সেভাবেই নেবে। শুধু আমি আপনাকে নিজের মাঝে অন্য রকম করে সাজিয়ে ছিলাম। তাইতো অনেক কিছু মেনে নিতে পারতাম না। পরামর্শ দিতাম। এখন কোন ব্যাপার না। চালিয়ে যান। আল্লাহ কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েন। অপেক্ষা করেন..... আপনি যা চান তেমন কিছুর জন্য।

অবধ্য!

কত কথা যে বলা হলো না, হিসেব করিনি। কত রইলো বাকি? অথচ, তুমি চলে যাওয়ার পর, সেই যে বুক পকেটের পিঞ্জরটা বন্ধ করে দিয়েছি তারপর আর খোলা হয়নি একবারও। তাই কথার ফাইল ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে। জমা পড়ছে পিঞ্জরের অন্তঃপুরে। যখন বুকটা ব্যাথা করে ওঠে হিমায়িত কথাদের ভারে, রাখতে পারিনা আর তাদের বদ্ধ করে। দুমড়ে মুচড়ে গলা থেকে উগরে পিঠের মেরুদণ্ডের নহরে বয়ে যায় সে কথার বিষ। তখন অনবরত বুলেট-বৃষ্টির মতো একা একা অনর্গল বকে যাই বিড়বিড় করে। আর দুলতে থাকি, পেন্ডুলামের মতো। একাকিত্ম আমাকে আর কষ্ট দেয়না, আমি আমার মতো করে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি । খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি, বই পড়ছি, গান শুনছি, প্রার্থনা করছি... আর যখন মন খারাপ হয় তখন কবিতা লিখছি। এই যে, এতো কিছু আয়োজন শুধু তোমাকে ঢেকে রাখবো বলে। পারছি কি? তুমি যেনো এক সাগর লবনাক্তের ব্যাথার ঢেউ। ছলাৎছলাৎ করে আছড়ে পড়ছো আমার সর্বাঙ্গে। আমি কিছুতেই সে বিষের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হতে পারছিনা। বিস্মৃত হতে গিয়ে বারবার সে সৃত্মির পীড়া দগ্ধ করছে। অথচ, সেতো ভোরের হাওয়ায় ক্লান্ত বুলবুল, দূর বনানীর পাখি। তাকে ধরে রাখার সাধ্য কার!