অবধ্য!
কত কথা যে বলা হলো না,
হিসেব করিনি। কত রইলো বাকি?
অথচ, তুমি চলে যাওয়ার পর,
সেই যে বুক পকেটের পিঞ্জরটা বন্ধ করে দিয়েছি তারপর আর খোলা হয়নি একবারও।
তাই কথার ফাইল ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে।
জমা পড়ছে পিঞ্জরের অন্তঃপুরে।
যখন বুকটা ব্যাথা করে ওঠে
হিমায়িত কথাদের ভারে,
রাখতে পারিনা আর তাদের বদ্ধ করে।
দুমড়ে মুচড়ে গলা থেকে উগরে পিঠের
মেরুদণ্ডের নহরে বয়ে যায় সে কথার বিষ।
তখন অনবরত বুলেট-বৃষ্টির মতো
একা একা অনর্গল বকে যাই বিড়বিড় করে।
আর দুলতে থাকি, পেন্ডুলামের মতো।
একাকিত্ম আমাকে আর কষ্ট দেয়না,
আমি আমার মতো করে
নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি ।
খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি, বই পড়ছি, গান শুনছি,
প্রার্থনা করছি... আর যখন মন খারাপ হয়
তখন কবিতা লিখছি।
এই যে, এতো কিছু আয়োজন শুধু
তোমাকে ঢেকে রাখবো বলে।
পারছি কি? তুমি যেনো
এক সাগর লবনাক্তের ব্যাথার ঢেউ।
ছলাৎছলাৎ করে আছড়ে পড়ছো আমার সর্বাঙ্গে।
আমি কিছুতেই সে বিষের যন্ত্রণা থেকে
মুক্ত হতে পারছিনা।
বিস্মৃত হতে গিয়ে বারবার সে সৃত্মির
পীড়া দগ্ধ করছে। অথচ, সেতো
ভোরের হাওয়ায় ক্লান্ত বুলবুল,
দূর বনানীর পাখি।
তাকে ধরে রাখার সাধ্য কার!
Comments
Post a Comment