একজন মুসলিম নারী হিসেবে অবশ্যই যা জানা প্রয়োজন

একজন প্রকৃত পর্দা করা নারী, ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে দৃঢ়ভাবে পা ফেলে এবং কথা বলার সময় অন্যরা যাতে বাজে চিন্তায় বা কাজে লিপ্ত না হয় সে জন্য নিজের কণ্ঠকে মোটা করে, প্রকৃতপক্ষে তখন সে তার এই ধরনের কাজের মাধ্যমে এ বক্তব্যই তুলে ধরে : “আমাকে ভয় কর, তোমাদের অন্তরে আমার প্রতি আকাংখার দুঃসাহস কর না। আমি একটি সু-গন্ধযুক্ত ফুল, আর শুধুমাত্র একজনই আমার সু-গন্ধ উপভোগ করবে, সকলে নয়। আমার পর্দা হচ্ছে কাটার ন্যায় যা আমার ফুলের ন্যায় অস্তিত্বকে সংরক্ষণ করে। আমার পর্দা, আমার পোশাক, আমার চলাচাল, আমার কথাবার্তা অপবিত্র ব্যক্তিদের চোখকে অন্ধ করে দেয় এবং তাদের শয়তানী উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে নিরাশ করে থাকে।” একজন প্রকৃত পর্দা করা নারী, সৌন্দর্য্যকে পর্দার দীপ্তিময় প্রকাশেই খুঁজে পাই। তার প্রবৃত্তি ও শয়তানের দাসত্ব করে না এবং নিজের মধ্যে কোনরূপ ঘাটতি অনুভব করে না। সব ধরনের দাসত্বের বন্ধন মুক্ত এবং আল্লাহর অভিভাবকত্বের ছায়ায় থাকে, যেমনভাবে ঝিনুকের মাঝে মুক্তা থাকে। অপরদিকে- বেপর্দা বা সঠিকভাবে পর্দা না করা নারীরা বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয়, কালারফুল বা চোখে ধরে এমন পোশাক পরে, আকর্ষনীয় ভঙ্গিমায় কথা বলে এবং আচার আচরণের মাধ্যমে সে নিজের অজান্তেই অন্যের নিকট সুগন্ধ ছড়িয়ে দেয়। আবার কাজের অযুহাতে অন্যকে স্পর্শ করাটাকে সহজ ভাবেই নিয়ে নেয়। যেখানে সে সরাসরি বলতেই পারে, আমি নারী, তাই আমি অন্য পুরুষের শরীর স্পর্শ করি না। কর্মক্ষেত্রের বসকে নয়, আল্লাহকে ভয় করা উচিত। ফার্সী প্রবাদে আছে : “কলসির মধ্য থেকে তাই বেরিয়ে আসবে যা তার মধ্যে আছে”।

Comments

Popular posts from this blog

তোমায় ভালোবাসি বলেই সন্দেহ করি

আমার ভাবনায় তুমি যেমন