সমাধান কিন্তু আসছে না

ব্যক্তিভেদে সম্পর্কের ধরন ভিন্ন হয়, সম্পর্কের সংজ্ঞাও একেকজনের কাছে একেক রকম। কিছু সম্পর্ক অনেকটা গোলকধাঁধার মত। যতই আপনি বের হওয়ার রাস্তা খুঁজুন না কেন, চাইলেও পারবেন না। কারন ভালোবাসাটা অকৃত্রিম। কারও একজনের কাছে যে আচরণটি অস্বাভাবিক মনে হবে, আরেকজনের কাছে এটি খুব স্বাভাবিক মনে হতে পারে। আসলে কি পুরুষ মানুষ আর মেয়ে মানুষ কি এক? নারী বাদীরা তো বলবেই নারী পুরুষ সমান অধিকার। কিন্তু কোন পুরুষ তার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে টেনশন ছাড়া থাকতেই পারবে না। কারন সে মেয়ে মানুষ। বলতে পারেন মেয়ে মানুষও তার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে টেনশন করতেই পারে। হ্যা অবশ্যই পারে- কিন্তু...... তারপরও কথা থাকে পুরুষ একা কোথাও যেতেই পারে, নারী কি পারে? হয়তো পায়ে হেটে যেতেই পারে, হাহাহা। ব্যাপারটা হলো নারীকে চলাচলে, কথা বার্তায়, আচার আচরণে তার ভালোবাসার মানুষ বিধি নিষেধ আরোপ করবে এটাই স্বাভাবিক কারন সে নারী। হাহাহা, আসলে আমি বোঝাতে পারছি না। হয়তো নারী নিজেও একই কথা বলবে সেও পারে তার ভালোবাসার মানুষকে চলাচলে, কথা বার্তায়, আচার আচরণে তার ভালোবাসার মানুষ বিধি নিষেধ আরোপ করবে, আর করতেই পারে। সে যায় হোক, আমার মনে হয় কি- সব সম্পর্কেই মনোমালিন্য হয়। শতভাগ ঠিকঠাক সম্পর্ক বলে তো কিছু হয় না। কোনো ঝগড়ার পর ভুল যারই থাকুক না কেন যদি একজনই বারবার সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে ভুল স্বীকার করে নেন, তবে বুঝতে হবে সম্পর্কের প্রতি ওই ব্যক্তিই বেশি যত্নশীল। জানি এটাতেও নারীর আপত্তি, সে বলবে সেই বারবার ভুল স্বীকার করে। এটা নিয়ে মনে হয় আবার ঝগড়া হবে, সমাধান কিন্তু আসছে না। আবার সবসময় সঙ্গীকে ছোট করে কথা বলা, অসম্মান করা এ সবই সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। সম্পর্কে মানসিক নিরাপত্তা না থাকলে সেটি কারও মনের জন্য মোটেই ভালো নয়।' হাহাহা- আবারও ঝগড়ার সম্ভাবনা আছে। কারন এখানেও নারী একই কথা বলবে, যে- তাকেই ছোট করে কথা বলা হয়, অসম্মান করা হয়। সমাধান কিন্তু আসছে না। একটাই কথা- ক্ষমাই যদি করতে না পার, তবে তাকে ভালোবাস কেন?' ভালোবাসলে ছোটখাট ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিতে হয়। রাগ পুষে রাখতে হয় না। নাহ, এবারও সমাধান আসছে না। সেও একই কথা আমাকে বলবে। সম্পর্কে থাকা দুজনকেই যথাসম্ভব ছাড় দিতে হবে। সংবেদনশীল হতে হবে, সহানুভূতি থাকতে হবে। শুধু একজন সব ছাড় দিয়ে গেলে সম্পর্কের তিক্ততা বাড়তে থাকে। হাহাহা, এবারও একই কথা, সেও আমাকে হয়তো এই কথায় বলবে। কারন সে ছাড় দেবে না। ধুর কি যে বলছি। এই যা সে আবার ধুর বললে মাইন্ড করে। সমাধন কিন্তু আসছে না। তাহলে আমাদের জন্য পরামর্শটা কি হবে??? কি বলেন বিবেক?? পরামর্শ: ধরুন, আপনার প্রিয় মানুষটি বারবার একই ভুল করছেন। আপনি কষ্ট পাচ্ছেন জেনেও এই ভুল থেকে বের হতে পারছেন না তিনি। সেক্ষেত্রে সম্পর্ক থেকে সাময়িক ছুটি নিতে পারেন। অনেক সময় অনুপস্থিতি একজনের উপস্থিতি ভালোভাবে জানান দিতে পারে। যোগাযোগ বন্ধ থাকলে হয়তো তিনি ধীরে ধীরে উপলব্ধি করতে পারবেন, কেন আপনি কষ্ট পেতেন অথবা তার জীবনে আপনার গুরুত্ব কতটা। এটাকে বলে, নেগেটিভ রিইনফোর্সমেন্ট। সম্পর্ক সুন্দর রাখতে মাঝে মাঝে এমন ছুটি নেওয়া জরুরি। কিন্তু এই পরামর্শ শোনার পর বিরাট ঝড় উঠবে, সে যে বিচুটি। হয়তো বলেই ফেলতে এটাই তো তুমি চাও, যাও তোমাকে সারা জীবনের জন্য ছুটি দিলাম। তবে আমি এটাও জানি ছুটি তো দেবেই না, সমাধানেও আসবে না, শুধু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ......, সমাধান কিন্তু আসছে না। ধুর কিসের সমাধান, চলুক না। কি লিখতে বসলাম আর কি লিখলাম। তবে তোমাকে বলছি, তোমার খারাপ আমি চাই না, সব সময় ভালো চাই, তুমি অনেক কিছুতেই ভুল করো এবং করছো। তবে এটাও বলি তোমার কোন কিছুতে আমার আর হাত নেই। তুমি আমার হাত থেকে বের হয়ে গেছো, কারন আমার ভালোবাসা তাদের দেওয়া সম্মানের কাছে ফিকে হয়ে গেছে...

Comments

Popular posts from this blog

তোমায় ভালোবাসি বলেই সন্দেহ করি

আমার ভাবনায় তুমি যেমন