Posts

Showing posts from June, 2018

বড় শাস্তি!

কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করে, তোমাকে আমি সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে চাই। তোমার জন্য সব চেয়ে বড় শাস্তি কি হতে পারে? উত্তর- আমার সামনে থেকে আমার প্রিয়তমার দুরে সরে যাওয়া।

যেখানে অফুরন্ত অবসর...

একদিন আমার অফুরন্ত অবসর আসবে। টাকা, যশ-খ্যাতি, প্রিয় পাগলী, আদুরের ছোট ছোট পাগুলো, সব...... সব....... সব থাকবে.....। একদিন সবার হৃদয়ে অবহেলার করুন সুর বাজবে। একদিন হয়তো আবার আমাকে মনে পড়বে। একদিন হয়তো আমার আর অপেক্ষা করার শক্তি, ক্ষমতা থাকবে না। হয়তো তোমাকেই আমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, অনন্ত অপেক্ষা...। একদিন হয়তো সব ভালোবাসা উজাড় করে দিতে ছটফট করবে। তখন হয়তো নষ্ট, চরিত্রহীন মানুষটিকে কাছে পাবে না। একদিন আমি অভিমানে ভরে তুলবো স্মৃতির পাহাড়, চলে যাব দূরে...... বহু দুরে..... দূর অজানায়... না ফেরার দেশে..।

এলোমেলো..... অবাধ্য.. অপেক্ষা..., আক্ষেপ..!

ভালোবাসা! পুরোনো অভ্যেসগুলো রাতারাতি বদলে দেয়...। সময়ের সাথে যুদ্ধ করে কাজ করা সময়ের ফেরিওয়ালা মানুষটার জন্যেও একদিন সময়ের আগে ছুটে এসে প্রতীক্ষা করাটা হয়ে যায় খুব কাঙিক্ষত কিছু....। ভালোবাসার মানুষের জন্য অপেক্ষা করাটাও যেন অনেক মধুর। কারনে... অকারনে.... অবাধ্য অপেক্ষা! কেউ কখনই জানে না!! কার জন্য কে কিভাবে নিরন্তর ভালোবাসার পর্ষা সাজিয়ে কতো অনন্তকাল জুড়ে অপেক্ষায় রয়েছে..... এক আকাশ স্বপ্ন আগলে রেখে ....... সবার আড়াল থেকে ..... এখন শুধু অপেক্ষা না.. এখন ভালোবাসার আকাঙ্খার সীমা ছাড়িয়েছে অনেক দুর। একদিন তোমার-আমার সকালটা শুরুই হবে, দুজন দুজনের ঘুম মাখা মায়াবী মুখ টা দেখে। সেদিন আমরা একে অপরের খুব কাছাকাছি থাকবো। দুজন এক দৃষ্টে চেয়ে থাকবো একে অপরের দিকে। দুজনে একে অপরের হাসি মাখা মুখ দেখে শুভ সকাল বলবো। আমাদের প্রতিটি সকাল এভাবেই ভালোবাসা দিয়েই যেন শুরু হয়। সেদিনের অপেক্ষায় আছি, যেদিন দুজন একসঙ্গে সেহরি করবো, একসঙ্গে ইফতার করবো; আমি আবদ্ধ হতে চাই সেই পবিত্র সম্পর্কে। সেহরির সময় মিষ্টি মধুর কন্ঠে ঘুম ভাঙানোর জন্য আমি শুধু তোকেই আশা করি। একটি অপেক্ষা, একটি আক্ষেপ.....।

যখন তুমি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাও... আমি খারাপ..

মাঝে মাঝে মনে হয় তোমার জীবনটা বুঝি আমি নষ্ট করেই দিচ্ছি। যখন তুমি আমার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দাও, আমি খুব খারাপ একটা মানুষ। তখন নিজেকে খুব বেশি অপরাধী মনে হয়। নিজেকে অনেক ছোট মনে। বলতে পারো- “চরিত্রহীনের আবার মান আছে?”। তবুও কথাগুলো শুনলে মনে হয় বুকের মাঝে কেউ ছিদ্র করে দিয়েছে। একধরনের অন্যরকম অনুভুতি, জ্বলে যায় বুকটা। তোমার শুভাকাঙ্খীরা আগেই তোমাকে আমার সম্পর্কে সর্তক করেছে। তবুও আমি তোমাকে আমার ফাঁদে ফেলেছি। যখন বলো তোমাকে নিয়ে আমি খেলা খেলেছি- তখনও অনেক বড় অপরাধী মনে হয়। নিজের অপরাধবোধগুলো ভুলে থাকার জন্য ছুটে যায়- অন্য কোথাও। হয়তো কোন একদিন জানতে পারবে- তিলে তিলে শেষ হয়ে গেছি।

আমি বাকরুদ্ধ

তোমাকে এখন ভয় হয়। আমি ভীত, সন্ত্রস্ত। তোমার রাগ-জেদ আমি দেখেছি। দেখে আমি বাকরুদ্ধ। সব ভাষা হারিয়ে গেছে। ভয় হয় কথার মাঝে যদি আবারও ভুল করি। যদি তোমার জেদের কাছে আমার ভালোবাসা পরাজিত হয়! এখন তোমাকে আমার অনেক ভয় হয়। যদি তোমায় হারিয়ে ফেলি! তাই আজ আমি বাকরুদ্ধ। বাকরুদ্ধ হয়ে যদি তুমি ভালো থাকো, যদি তুমি সুস্থ্য থাকো, তবে সেটাই ভালো। যদি জীবনে সুখ নাই দিতে পারি তাহলে দুঃখ দেওয়ার কোন অধিকার আমার নেই। তুমি নিজেকে আঘাত করে আমাকেই শেষ করে দিয়েছো। আজ তোমাকে ভয় হয়। অনেক মিস করছি, তবুও কথা বলার সাহস হচ্ছে না, তোমাকে এখন অনেক ভয় লাগে। যদি আবারও কিছু ভুল বলি, আর কষ্ট পেয়ে তুমি নিজেকে আঘাত কর। যে আঘাতের কোন সীমা নেই, সহ্য করার মত আঘাত না। আজ তোমাকে অনেক ভয় হয়। তাই আমি বাকরুদ্ধ!

আমি তোমার ইচ্ছে ঘুড়ি

আমি তোমার ইচ্ছে ঘুড়ি যেমন উড়াও তেমন উড়ি। তোমার স্বপ্নের জন্য আমার স্বপ্নগুলো মুঠোয় নিয়ে করি লুকোচুরি।