সময়ের ফেরিওয়ালা

কিছু কথা হয় মনের সাথে নিঃশব্দে, চোখের জলে শব্দহীন কথাগুলো প্রাণ পায় হয়তো। চোখের জল অভিনয়ে আসে না, যখন আসে তখন সে অভিনয় আর অভিনয় থাকে না। তাই জলভরা চোখে তাকিয়ে থাকলে নিজ চোখও ছলছল করে। চোখের জল সবসময় ভেজায় না কঠিনও করে। গতকাল তুমি আমার কাছে মিথ্যা বলেছো, বলতে পারো গোপন করেছো। আর গতকাল নিজের অস্তিত্ব উপলব্ধী করেছি। আমার গুরুত্ব তোমার কাছে কতটুকু। দোষ তোমার না, এটা হবে জানতাম, মেনে নিয়েছি। কিন্তু কষ্ট পেয়েছি। গত রাতে কষ্টের তীব্রতা এতটাই ছিল, ঘুমাতে পারিনি। কারন সামনে এমন ঘটনা আরও ঘটবে। তাই কষ্ট আরও পাব, পেতেতো হবেই। হয়তো ভাবছো আমিও তোমায় কষ্ট দিই বা দিচ্ছি। হাহাহা। সেই তুমি আর এই ‍তুমি। জীবন যেখানে যেমন।

যেখানে মন কেবল সীমানাই দেখতে পায় ,প্রেম সেখানেও গোপন পথ খুঁজে বের করে। আমি এমন অনেক মানুষ দেখেছি যাদের শরীরে কোনো পোশাক নেই, আবার আমি অনেক পোশাক দেখেছি যেগুলোর ভিতর প্রকৃত মানুষ নেই। এই দুনিয়া আর দুনিয়ার মানুষগুলো বড়ই অদ্ভুত। হয়তো একদিন সবাই আমাকে পাগল বলবে, হয়তো তুমিও তাই-ই বলবে।

কখনো ভালো থাকতে চেয়েছি তো কখনো অবসাদ। জীবনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে যে সংকুচিত মানসিকতা দাঁড়িয়ে থাকে তার থেকে পরিত্রাণও চেয়েছি হয়তো। যখন দেখেছি সেই সংকুচিত মানসিকতা মাথা উঁচু করে আমাকে ভেংচি কাটছে তখন অবাক হইনি একটুও। কেন জানি এই অদ্ভত আচরণ নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারিনি। কি অদ্ভুত তাই না? জীবনে জুয়া খেলা শিখতে হয় এবং সেই জুয়াতে ভেসে যেতে হয়। তাতে দীর্ঘ মেয়াদি সফলতা না আসলেও ক্ষনিক ভালো থাকা যায়। আমি আসলে এই জীবনে অভ্যস্ত হতে ব্যর্থ। সময়ের সাথে গা ভাসিয়ে চলে যে মানুষ তার সাথে ভেসে চলার মতো সক্ষমতা আমার আজও তৈরী হলো না। তাই সমাজের কাছে অচল পয়সা হয়েই রয়ে গেলাম।

লোকালয়ের খোঁজে দৌড়ে এসে দেখি, চারপাশে শুধুই শুন্যতা শত মানুষের ভীড়ে, আমার একাকীত্বই আমার পূর্ন্যতা।